পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে অগ্রিম টিকিট কিনতে কোনো ভিড় নেই। ফাঁকা পড়ে আছে সদরঘাট টার্মিনাল, অলস সময় কাটাচ্ছেন লঞ্চের কর্মীরা।
লঞ্চের মালিক ও কর্মীদের ভাষ্য, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সড়কপথকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাই আগের মতো আর লঞ্চে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষেও অগ্রিম টিকিটের তেমন চাহিদা নেই। যদিও লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। আগে সাধারণত ১৫ রোজার পর থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতো। সেই টিকিট কিনতে ভিড় হতো প্রচুর। অনেকে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতেন না।
এ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘আগে যাত্রীরা সশরীর এসে, কেউবা মুঠোফোনে, কেউবা অনলাইনে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং দিতেন। এখন আর আগের মতো লঞ্চের টিকিটের চাহিদা ও প্রতিযোগিতা নেই। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চমালিকদের সভা রয়েছে। সেই সভায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না হলেও অনেক লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুলাদীগামী এমভি মিতালী লঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চের তিনজন কর্মচারী মুঠোফোনে গেমস খেলছেন। তাঁদের মধ্যে মো. ইমতিয়াজ নামের এক কর্মচারী বলেন, ‘ভাই, আগের মতো সময় এহন আর নাই। আগে ঈদের ১৪-১৫ দিন আগে থেইক্যা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা অগ্রিম টিকিটের লাইগ্যা লঞ্চে লঞ্চে ভিড় জমাইতো। সকাল থেইক্যা একটাও অগ্রিম টিকিট বেচতে পারি নাই। কী করমু? তাই অহন মোবাইলে লুডু খেইল্যা আমরা সময় কাডাইতাছি।’
মুলাদী রুটের টিকিট নিতে আসা আলতাফ মিয়া বলেন, কয়েকটি লঞ্চে খোঁজ নিয়েছেন। অগ্রিম টিকিট পাননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের দুই-তিন দিন আগে থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। যদি টিকিট না পান, তাহলে সমস্যা হবে না। সড়কপথে পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি যাবেন।
মুলাদীগামী এমভি টিপু-১৩ লঞ্চের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের আগে ৭ এপ্রিল ট্রিপ আছে। এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। অগ্রিম টিকিট ছাড়ার বিষয়ে মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। টিকিট পেতে হলে যাত্রীদের ট্রিপের দুই দিন আগে এসে খোঁজ নিতে হবে।
বরিশালগামী এমভি পারাবত-১৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমান বলেন, সকাল থেকে বসে আছেন। দুপুর পর্যন্ত একটিও অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়নি। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সড়কপথে যাচ্ছেন। তাই এখন ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় কম।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের নৌযান পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দরে সুষ্ঠুভাবে যাত্রীসেবা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নৌযান চলাচল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে লঞ্চ-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে অগ্রিম টিকিট কিনতে কোনো ভিড় নেই। ফাঁকা পড়ে আছে সদরঘাট টার্মিনাল, অলস সময় কাটাচ্ছেন লঞ্চের কর্মীরা।
লঞ্চের মালিক ও কর্মীদের ভাষ্য, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সড়কপথকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাই আগের মতো আর লঞ্চে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ঈদ উপলক্ষেও অগ্রিম টিকিটের তেমন চাহিদা নেই। যদিও লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। আগে সাধারণত ১৫ রোজার পর থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতো। সেই টিকিট কিনতে ভিড় হতো প্রচুর। অনেকে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতেন না।
এ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘আগে যাত্রীরা সশরীর এসে, কেউবা মুঠোফোনে, কেউবা অনলাইনে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং দিতেন। এখন আর আগের মতো লঞ্চের টিকিটের চাহিদা ও প্রতিযোগিতা নেই। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চমালিকদের সভা রয়েছে। সেই সভায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না হলেও অনেক লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুলাদীগামী এমভি মিতালী লঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চের তিনজন কর্মচারী মুঠোফোনে গেমস খেলছেন। তাঁদের মধ্যে মো. ইমতিয়াজ নামের এক কর্মচারী বলেন, ‘ভাই, আগের মতো সময় এহন আর নাই। আগে ঈদের ১৪-১৫ দিন আগে থেইক্যা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা অগ্রিম টিকিটের লাইগ্যা লঞ্চে লঞ্চে ভিড় জমাইতো। সকাল থেইক্যা একটাও অগ্রিম টিকিট বেচতে পারি নাই। কী করমু? তাই অহন মোবাইলে লুডু খেইল্যা আমরা সময় কাডাইতাছি।’
মুলাদী রুটের টিকিট নিতে আসা আলতাফ মিয়া বলেন, কয়েকটি লঞ্চে খোঁজ নিয়েছেন। অগ্রিম টিকিট পাননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের দুই-তিন দিন আগে থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। যদি টিকিট না পান, তাহলে সমস্যা হবে না। সড়কপথে পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি যাবেন।
মুলাদীগামী এমভি টিপু-১৩ লঞ্চের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের আগে ৭ এপ্রিল ট্রিপ আছে। এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। অগ্রিম টিকিট ছাড়ার বিষয়ে মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। টিকিট পেতে হলে যাত্রীদের ট্রিপের দুই দিন আগে এসে খোঁজ নিতে হবে।
বরিশালগামী এমভি পারাবত-১৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমান বলেন, সকাল থেকে বসে আছেন। দুপুর পর্যন্ত একটিও অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়নি। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সড়কপথে যাচ্ছেন। তাই এখন ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় কম।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের নৌযান পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা নদীবন্দরে সুষ্ঠুভাবে যাত্রীসেবা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নৌযান চলাচল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে লঞ্চ-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।