চট্টগ্রাম নগরে বহদ্দারহাট বাজারে ব্রয়লার মুরগির দরদাম করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী ইফতেখার হোসেন। তবে দাম শুনে কিছুটা ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম চাওয়া হয়েছে ২৫০ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক রাতের ব্যবধানেই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
ইফতেখার হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরেই বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। পবিত্র শবে কদর ও ঈদ ঘিরেই দাম বাড়িয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার সকালে বাজার ঘুরে ২৩৫ টাকা দেখেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ টাকা বাড়তি দাম চাওয়া হলো।
আজ রোববার নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২০০ টাকার আশপাশে ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। মার্চে মাসে গড় দাম ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আজ রোববার বাজারে গড় দাম ছিল ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বর্তমানে ২৩০ টাকা আশপাশে। এর ওপর পরিবহন খরচ দোকানিদের দিতে হয়। তাই সব মিলিয়ে দাম বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বাজারে এই প্রাণিজ আমিষের দাম বাড়ছে।
চকবাজারের মুরগি বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, দাম গত সপ্তাহের ২১০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে ছিল। হঠাৎ দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেল। আর এক রাতেই দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
গরমে উৎপাদন কমেছে
ব্রয়লারের বাড়তি দামের বিষয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম নগর ও বিভিন্ন উপজেলার পাঁচ খামারি ও সরবরাহকারীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, দুটি কারণে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। একটি হলো বাচ্চার সরবরাহ কমে যাওয়া, অন্যটি গরমে প্রচুর মুরগি মারা যাওয়া।
খামারিরা বলছেন, প্রতিটি বাচ্চা কিনতে এখন ৬০ থেকে ৬২ টাকা খরচ হচ্ছে। আর প্রতি কেজি মুরগির খাবারে খরচ হচ্ছে ৭০ টাকার বেশি। ফলে উৎপাদন খরচ বেশি হয়। এর পাশাপাশি গরমের কারণে মুরগি মারা গেছে। সেই লোকসানও খামারিরা গুনছেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলার খামারি মো. নুরুজ্জামান বলেন, ৬০ টাকা দরে বাচ্চা দিলেও চাহিদার অর্ধেক বাচ্চাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন হচ্ছে কম। এর মধ্যে শীতকালে রোগবালাইতে মুরগি মারা গেছে সব খামারির।
খামারিদের তথ্য অনুযায়ী, একটি ব্রয়লার মুরগি ১ কেজি থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম হতে খরচ হয় ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এর সঙ্গে লভ্যাংশ যুক্ত করে বাজারে ব্রয়লার সরবরাহ করে খামারিরা। শনিবার রাতে বাজারে গড়ে ২৩০ টাকার আশপাশে ব্রয়লার সরবরাহ করেছেন খামারিরা।
সরকারি দাম মানে না কেউ
গত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, সবজির মতো ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম সর্বোচ্চ ১৫১ টাকা ৮১ পয়সা। আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। যদিও সে সময় দাম ১৬৫ টাকার আশপাশে ছিল। এরপর অবশ্য এই দাম বাজারে মানা হয়নি।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে মুরগি বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, যখন সরকার দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে তখন দাম ১৬৫ টাকার আশপাশে ছিল। তখন ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করেনি। এখন কেনা বেশি পড়ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খামারিরা জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে উৎপাদন খরচ দেখানো হয়েছে, তার তুলনায় উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। তার ওপর মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। সব মিলিয়ে এই দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
নির্ধারিত দর না মানলে জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে ইতিমধ্যে অভিযান অব্যাহত আছে। তদারকির সময় অসংগতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম নগরে বহদ্দারহাট বাজারে ব্রয়লার মুরগির দরদাম করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী ইফতেখার হোসেন। তবে দাম শুনে কিছুটা ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম চাওয়া হয়েছে ২৫০ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক রাতের ব্যবধানেই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
ইফতেখার হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরেই বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। পবিত্র শবে কদর ও ঈদ ঘিরেই দাম বাড়িয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার সকালে বাজার ঘুরে ২৩৫ টাকা দেখেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ টাকা বাড়তি দাম চাওয়া হলো।
আজ রোববার নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২০০ টাকার আশপাশে ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। মার্চে মাসে গড় দাম ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আজ রোববার বাজারে গড় দাম ছিল ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বর্তমানে ২৩০ টাকা আশপাশে। এর ওপর পরিবহন খরচ দোকানিদের দিতে হয়। তাই সব মিলিয়ে দাম বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বাজারে এই প্রাণিজ আমিষের দাম বাড়ছে।
চকবাজারের মুরগি বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, দাম গত সপ্তাহের ২১০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে ছিল। হঠাৎ দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেল। আর এক রাতেই দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
গরমে উৎপাদন কমেছে
ব্রয়লারের বাড়তি দামের বিষয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম নগর ও বিভিন্ন উপজেলার পাঁচ খামারি ও সরবরাহকারীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, দুটি কারণে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। একটি হলো বাচ্চার সরবরাহ কমে যাওয়া, অন্যটি গরমে প্রচুর মুরগি মারা যাওয়া।
খামারিরা বলছেন, প্রতিটি বাচ্চা কিনতে এখন ৬০ থেকে ৬২ টাকা খরচ হচ্ছে। আর প্রতি কেজি মুরগির খাবারে খরচ হচ্ছে ৭০ টাকার বেশি। ফলে উৎপাদন খরচ বেশি হয়। এর পাশাপাশি গরমের কারণে মুরগি মারা গেছে। সেই লোকসানও খামারিরা গুনছেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলার খামারি মো. নুরুজ্জামান বলেন, ৬০ টাকা দরে বাচ্চা দিলেও চাহিদার অর্ধেক বাচ্চাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন হচ্ছে কম। এর মধ্যে শীতকালে রোগবালাইতে মুরগি মারা গেছে সব খামারির।
খামারিদের তথ্য অনুযায়ী, একটি ব্রয়লার মুরগি ১ কেজি থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম হতে খরচ হয় ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এর সঙ্গে লভ্যাংশ যুক্ত করে বাজারে ব্রয়লার সরবরাহ করে খামারিরা। শনিবার রাতে বাজারে গড়ে ২৩০ টাকার আশপাশে ব্রয়লার সরবরাহ করেছেন খামারিরা।
সরকারি দাম মানে না কেউ
গত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, সবজির মতো ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম সর্বোচ্চ ১৫১ টাকা ৮১ পয়সা। আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। যদিও সে সময় দাম ১৬৫ টাকার আশপাশে ছিল। এরপর অবশ্য এই দাম বাজারে মানা হয়নি।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে মুরগি বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, যখন সরকার দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে তখন দাম ১৬৫ টাকার আশপাশে ছিল। তখন ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করেনি। এখন কেনা বেশি পড়ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খামারিরা জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে উৎপাদন খরচ দেখানো হয়েছে, তার তুলনায় উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। তার ওপর মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। সব মিলিয়ে এই দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
নির্ধারিত দর না মানলে জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে ইতিমধ্যে অভিযান অব্যাহত আছে। তদারকির সময় অসংগতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।