তারুণ্যের জন্য রোভারিং—কথাটি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। স্কাউটিং শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই আগে থেকেই পরিচিত, কিন্তু রোভার স্কাউটিং বিষয়টি অনেকেরই অজানা। স্কাউটিংয়ের মোট তিনটি ধাপের মধ্যে রোভার স্কাউটিং অন্যতম। রোভার স্কাউট হলো এমন একটি সংগঠন, যেখানে সব কাজ ও শিক্ষা আনন্দের মধ্য দিয়েই দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে একটি ছেলে বা মেয়ে দেশের সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পান।
এটি একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রোভার স্কাউট হলো যেসব তরুণ–তরুণী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন অথবা যাঁদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছর, তাঁদের রোভার স্কাউট বলে। প্রত্যেক তরুণের উচিত স্কাউট আন্দোলনে শামিল হওয়া, না হলে সে কিছুতেই স্কাউট আন্দোলনের আনন্দ বুঝতে পারবেন না। একজন তরুণ চাইলেই একটি দেশ ও জাতির কর্ণধার হতে পারবেন এই স্কাউট আন্দোলনে শামিল হয়ে। এর লক্ষ্য, যুবকদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, যাতে করে তাঁরা সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল (বি. পি) এ আন্দোলন শুরু করেন। তিনি একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। ব্যাডেন পাওয়েল ১৯২২ সালে ‘রোভারিং টু সাকসেস’ নামে একটি বই লেখেন। //////////বইটিতে একটি সুখী প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের জন্য ব্যাডেন পাওয়েলের দর্শনের পাশাপাশি রোভার স্কাউটরা নিজেদের জন্য সংগঠিত করতে পারেন, এমন কাজের জন্য ধারণাগুলো অন্তর্ভুক্ত করে।//////////////
১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের সূচনা দিবস হিসেবে ২০২২ সাল থেকে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস পালন করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ‘বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি’। দেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে রোভার স্কাউট।
ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি, রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট সদস্যরা। সকাল থেকে তাঁরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সহযোগিতা করেছেন। রোভার স্কাউটকে একটি দেশের সম্পদ বললে ভুল হবে না। রোভার স্কাউট একটি দেশের তরুণ-তরুণীকে চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, সদা সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়, তারা তাঁদের মধ্যে বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উদারতার শিক্ষা লালন করে।
কীভাবে দেশ ও জাতিকে উন্নতির শিখরে নেওয়া যায়, রোভার স্কাউট তারুণ্যের মধ্যে এই চেতনা জাগিয়ে তোলে। নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধের বিকাশের মাধ্যমে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকাশে সাধিত করে। আমি এমনও দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও যেসব ছেলেমেয়ে বলেছেন, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সারা দিন বিষণ্নতায় ভুগেছেন—এমন ছেলে–মেয়েও রোভার স্কাউটে যুক্ত হয়ে খুবই আনন্দের সঙ্গে দেশ ও সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। রোভার স্কাউট যেন তাঁদের জীবনে সজীবতা, আনন্দ ও প্রফুল্লতায় ভরে দিয়েছে। রোভার স্কাউট প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে আত্মনির্ভরশীল ও কর্মঠ হতে শেখায়; তাঁদের শরীর, মন সুস্থ–সবল রাখতে সহযোগিতা করে; অবসর সময়কে গঠনমূলক কাজে লাগিয়ে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
আমাদের প্রতিটি চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল করে গড়ে তোলে। আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো সেবা। দেশের যেকোনো সমস্যায় রোভার স্কাউট সবার প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়তে কখনোই কুণ্ঠা বোধ করে না। সামাজিক জনহিতকর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে স্কাউটিংয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে রোভার স্কাউটের এই এগিয়ে চলা। এর মাধ্যমে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্বকে সুন্দর করে সাজানোর প্রত্যয়দীপ্ততা আমাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য।
ক্রমোন্নতিশীল পদ্ধতিতে রোভার স্কাউটরা খেলার ছলে শিখে বলে জীবনকে সহজেই সুন্দরে ভরিয়ে তুলতে পারে। আন্দোলনের সেবার পাশাপাশি সমাজসেবা, সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখে তরুণেরা রোভার স্কাউটের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। সেবার মূলমন্ত্র নিয়ে রোভার স্কাউট সদস্যরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর আগেও অনেকবার দেখেছি যে আমাদের তরুণ রোভাররা কতভাবে তাদের সেবার মাধ্যমে তাদের কর্তব্যের পরিচয় দিয়েছে।
তরুণদের জন্য রোভার স্কাউট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাঁদের চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, সদা সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়, চৌকস হতে সাহায্য করে, বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উদারতার শিক্ষা দেয়। রোভাররা সর্বদা অন্যের সেবায় নিয়োজিত। সেটা যেভাবেই হোক না কেন। হোক সেটা কোনো দুর্যোগের সাহায্যের মাধ্যমে বা কোনো মানুষকে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যায় সহায়তার মাধ্যমে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সাহায্যের মাধ্যমে। বিভিন্নভাবে রোভার দেশ ও সমাজকে সাহায্যের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রত্যক্ষ করলে দেখা যায়, প্রতিটি ইউনিটের শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে ক্লাসে প্রবেশ করেন। পরীক্ষার্থীদের হল খুঁজে দিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে সহায়তা করেছেন রোভার স্কাউটের সদস্যরা। আসলে মানবজীবনের একমাত্র ব্রত হলো সেবা। মানব হৃদয়ের সব সুখ, তৃপ্তি ও সাফল্য সেবার মধ্যেই নিহিত।
এটি বিশ্বের একমাত্র সংগঠন, যেখানে যোগদান করতে হলে আত্মশুদ্ধি করতে হয়। আগ্রহীদের অতীত জীবনের সব বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করার শপথ নিতে হয়। মদ, জুয়া, যৌনতা, শঠতা ও ধর্ম থেকে বিমুখ—পাঁচটি শিলাখণ্ড থেকে জীবনতরিকে রক্ষা করতে হয়। স্কাউট প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হয়। যখন একজন তরুণ বা তরুণী রোভার স্কাউটে যোগ দেন, তিনি তখন এমন এক গণ্ডির ভেতরে চলে এসেছেন যে তাঁর জীবন একদম পাল্টে যায়। তিনি আর খারাপের সংস্পর্শে যেতে পারেন না।
তরুণেরা যদি রোভার স্কাউটে শামিল হন, তবে দেশ ও জাতির সেবার উন্নয়ন সাধন করবেন এবং এটাই একটা আদর্শ দেশ গড়ার কাজে সহায়ক হবে।
তারুণ্যের জন্য রোভারিং—কথাটি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। স্কাউটিং শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই আগে থেকেই পরিচিত, কিন্তু রোভার স্কাউটিং বিষয়টি অনেকেরই অজানা। স্কাউটিংয়ের মোট তিনটি ধাপের মধ্যে রোভার স্কাউটিং অন্যতম। রোভার স্কাউট হলো এমন একটি সংগঠন, যেখানে সব কাজ ও শিক্ষা আনন্দের মধ্য দিয়েই দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে একটি ছেলে বা মেয়ে দেশের সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পান।
এটি একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রোভার স্কাউট হলো যেসব তরুণ–তরুণী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন অথবা যাঁদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছর, তাঁদের রোভার স্কাউট বলে। প্রত্যেক তরুণের উচিত স্কাউট আন্দোলনে শামিল হওয়া, না হলে সে কিছুতেই স্কাউট আন্দোলনের আনন্দ বুঝতে পারবেন না। একজন তরুণ চাইলেই একটি দেশ ও জাতির কর্ণধার হতে পারবেন এই স্কাউট আন্দোলনে শামিল হয়ে। এর লক্ষ্য, যুবকদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, যাতে করে তাঁরা সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল (বি. পি) এ আন্দোলন শুরু করেন। তিনি একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। ব্যাডেন পাওয়েল ১৯২২ সালে ‘রোভারিং টু সাকসেস’ নামে একটি বই লেখেন। //////////বইটিতে একটি সুখী প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের জন্য ব্যাডেন পাওয়েলের দর্শনের পাশাপাশি রোভার স্কাউটরা নিজেদের জন্য সংগঠিত করতে পারেন, এমন কাজের জন্য ধারণাগুলো অন্তর্ভুক্ত করে।//////////////
১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের সূচনা দিবস হিসেবে ২০২২ সাল থেকে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস পালন করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল ‘বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি’। দেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে রোভার স্কাউট।
ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি, রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট সদস্যরা। সকাল থেকে তাঁরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সহযোগিতা করেছেন। রোভার স্কাউটকে একটি দেশের সম্পদ বললে ভুল হবে না। রোভার স্কাউট একটি দেশের তরুণ-তরুণীকে চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, সদা সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়, তারা তাঁদের মধ্যে বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উদারতার শিক্ষা লালন করে।
কীভাবে দেশ ও জাতিকে উন্নতির শিখরে নেওয়া যায়, রোভার স্কাউট তারুণ্যের মধ্যে এই চেতনা জাগিয়ে তোলে। নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধের বিকাশের মাধ্যমে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকাশে সাধিত করে। আমি এমনও দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও যেসব ছেলেমেয়ে বলেছেন, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সারা দিন বিষণ্নতায় ভুগেছেন—এমন ছেলে–মেয়েও রোভার স্কাউটে যুক্ত হয়ে খুবই আনন্দের সঙ্গে দেশ ও সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। রোভার স্কাউট যেন তাঁদের জীবনে সজীবতা, আনন্দ ও প্রফুল্লতায় ভরে দিয়েছে। রোভার স্কাউট প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে আত্মনির্ভরশীল ও কর্মঠ হতে শেখায়; তাঁদের শরীর, মন সুস্থ–সবল রাখতে সহযোগিতা করে; অবসর সময়কে গঠনমূলক কাজে লাগিয়ে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
আমাদের প্রতিটি চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল করে গড়ে তোলে। আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো সেবা। দেশের যেকোনো সমস্যায় রোভার স্কাউট সবার প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়তে কখনোই কুণ্ঠা বোধ করে না। সামাজিক জনহিতকর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে স্কাউটিংয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে রোভার স্কাউটের এই এগিয়ে চলা। এর মাধ্যমে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্বকে সুন্দর করে সাজানোর প্রত্যয়দীপ্ততা আমাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য।
ক্রমোন্নতিশীল পদ্ধতিতে রোভার স্কাউটরা খেলার ছলে শিখে বলে জীবনকে সহজেই সুন্দরে ভরিয়ে তুলতে পারে। আন্দোলনের সেবার পাশাপাশি সমাজসেবা, সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখে তরুণেরা রোভার স্কাউটের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। সেবার মূলমন্ত্র নিয়ে রোভার স্কাউট সদস্যরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর আগেও অনেকবার দেখেছি যে আমাদের তরুণ রোভাররা কতভাবে তাদের সেবার মাধ্যমে তাদের কর্তব্যের পরিচয় দিয়েছে।
তরুণদের জন্য রোভার স্কাউট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাঁদের চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, সদা সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়, চৌকস হতে সাহায্য করে, বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উদারতার শিক্ষা দেয়। রোভাররা সর্বদা অন্যের সেবায় নিয়োজিত। সেটা যেভাবেই হোক না কেন। হোক সেটা কোনো দুর্যোগের সাহায্যের মাধ্যমে বা কোনো মানুষকে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যায় সহায়তার মাধ্যমে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সাহায্যের মাধ্যমে। বিভিন্নভাবে রোভার দেশ ও সমাজকে সাহায্যের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রত্যক্ষ করলে দেখা যায়, প্রতিটি ইউনিটের শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে ক্লাসে প্রবেশ করেন। পরীক্ষার্থীদের হল খুঁজে দিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে সহায়তা করেছেন রোভার স্কাউটের সদস্যরা। আসলে মানবজীবনের একমাত্র ব্রত হলো সেবা। মানব হৃদয়ের সব সুখ, তৃপ্তি ও সাফল্য সেবার মধ্যেই নিহিত।
এটি বিশ্বের একমাত্র সংগঠন, যেখানে যোগদান করতে হলে আত্মশুদ্ধি করতে হয়। আগ্রহীদের অতীত জীবনের সব বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করার শপথ নিতে হয়। মদ, জুয়া, যৌনতা, শঠতা ও ধর্ম থেকে বিমুখ—পাঁচটি শিলাখণ্ড থেকে জীবনতরিকে রক্ষা করতে হয়। স্কাউট প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হয়। যখন একজন তরুণ বা তরুণী রোভার স্কাউটে যোগ দেন, তিনি তখন এমন এক গণ্ডির ভেতরে চলে এসেছেন যে তাঁর জীবন একদম পাল্টে যায়। তিনি আর খারাপের সংস্পর্শে যেতে পারেন না।
তরুণেরা যদি রোভার স্কাউটে শামিল হন, তবে দেশ ও জাতির সেবার উন্নয়ন সাধন করবেন এবং এটাই একটা আদর্শ দেশ গড়ার কাজে সহায়ক হবে।