বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা রকেটের গতিতে বাড়ার পেছনে বাজার কারসাজির সম্পর্কটা কী, সেটা অর্থশাস্ত্রের ছাত্রদের গবেষণার একটা বিষয় হতে পারে। উৎপাদক কৃষক ও ভোক্তা—দুইয়ের দশা ত্রাহি মধুসূদন হলেও কয়েক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া, পাইকারি থেকে খুচরা বিক্রেতা—সবার পকেটই ভারী হয়ে উঠছে।
এই যেমন ধরুন শসার কথা। ঢাকার বাজারে এক কেজি শসা কিনতে গেলে ক্রেতাকে ৬০-৭০ টাকা গুনতে হবে। অথচ ঠাকুরগাঁও কিংবা পঞ্চগড়ের যে কৃষক চড়া সুদে স্থানীয় এনজিও কিংবা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার করে কিছুটা লাভের আশায় শসা চাষ করেছিলেন, তাঁরা সর্বস্বান্ত হতে চলেছেন।
৪০ কেজির এক বস্তা শসা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০-৭০ টাকায়। সেটা কেনার লোক পাওয়া না যাওয়ায় খেতেই শসা পচে নষ্ট হচ্ছে। আর মজুরদের পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কৃষক।
বেগুনের কথাও ধরা যাক। ঢাকার বাজারে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বেগুন রোজার শুরুতেই চড়তে চড়তে শতক পেরিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই দাম নেমে আগের অবস্থানে ফিরে আসে। কিন্তু উৎপাদক বা কৃষক যখন বিক্রি করতে গেলেন, তখন দাম কেজিতে এক-দুই টাকার বেশে তাঁরা পাননি।
মুক্তবাজার অর্থনীতির ধ্রুপদি সূত্র অনুযায়ী চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করেই পণ্যের দাম ওঠানামা করে। বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে মুক্তবাজারটা একদিকে খোলা আর আরেক দিকে বন্ধ। কৃষক যখন তাঁর পণ্য বিক্রি করতে যান, তখন সেটা মুক্তবাজার। আর ফড়িয়া, পাইকার, খুচরা বিক্রেতাদের যখন ভোক্তার কাছে বিক্রি করতে যান, সেটা বন্ধবাজার।
সে কারণে উৎপাদন করেও কৃষক দাম পান না। উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না। পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার মধ্যস্বত্বভোগীদের যে স্তর, সেখানে দুর্ভেদ্য সিন্ডিকেট। ফলে ২ টাকার বেগুন, দেড় টাকার শসা বাজারে ৫০-৬০ টাকার নিচে নামতে পারে না।
বাংলাদেশে অর্থনীতিতে কৃষি নীতিনির্ধারকদের কাছে এখন অনেকটাই দুয়োরানি। যদিও বিবিএসের পরিসংখ্যানই বলছে, জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪-১৫ শতাংশ হলেও এখনো মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখনো কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
এর থেকেও বড় কথা হলো, কোভিড মহামারি; রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় দুটি বৈশ্বিক সংকট এবং ব্যাংক খাত লুটপাট, অর্থ পাচার ও ডলার–সংকটে অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও ছোট্ট ভূখণ্ডের সাড়ে ১৭ কোটি মানুষ যে খেয়েপরে টিকে আছে, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে চলেছে কৃষি ও কৃষক।
কিন্তু না রাজনৈতিক দলে, না সংসদে কৃষকদের কোনো প্রতিনিধি আছে। মধ্যপন্থী মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে কৃষক সংগঠন থাকলেও অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ভিড়ে তাদের যেমন কোনো গ্ল্যামার নেই আবার সেই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কৃষি ও কৃষকের দূরতম সম্পর্কও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফলে কৃষির সঙ্গে জড়িত সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
বাংলাদেশের ক্ষমতাকাঠামোয় তারা এতটা প্রান্তিক যে সেটা এখন অচ্ছুতের পর্যায়ে নেমে গেছে। অথচ কয়েক দশক আগেও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ শক্তিশালী কৃষক সংগঠন ছিল, সংগঠিত কৃষক আন্দোলনের অস্তিত্বও দেখা যেত।
অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষিরও রূপান্তর হয়েছে। আগে যেমন কৃষক প্রধানত ধান ও অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবার উৎপাদনে অভ্যস্ত ছিলেন, এখন সেখানে নানা ধরনের সবজি, ফল, অর্থকরি ফসল তাঁরা উৎপাদন করছেন। মূলত ধান উৎপাদন লাভজনক না হওয়ায় কৃষকেরা নানাভাবে নানা ফসল চাষ করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান।
উৎপাদন খরচ বিবেচনায় সরকার ধানের দাম বেঁধে দিয়ে প্রতিবছর কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করে। খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যেই এই সংগ্রহ। কিন্তু গত দুই বছরে জ্বালানি, সারের দাম যেভাবে দফায় দফায় ছাড়ানো হয়েছে এবং কৃষিমজুরদের মজুরি যেভাবে বেড়েছে, সে তুলনায় ধানের দাম কি কৃষক পাচ্ছেন?
নীতিটা এখানে মোটেই কৃষকবান্ধব নয়। বরং সরকারের উদ্দেশ্য হলো, যেকোনো মূল্যে চালের দামটা আটকে রাখা। সে ক্ষেত্রে মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি কাজ করে না। এখনো আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের শক্তির প্রধান উৎস শর্করা, আর সেটা আসে মূলত ভাত থেকে।
ধান চাষ লাভজনক না হওয়ায় কৃষকেরা কখনো আলু, কখনো টমেটো, কখনো শসা, কখনো পেঁয়াজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সেখানেও যে তাঁরা বড় মার খাচ্ছেন, সেটা দেখাই বাহুল্য।
আলু, পেঁয়াজ, শসা কিংবা অন্য কোনো কৃষিপণ্যের দাম বাড়লে চারদিকে শোরগোল উঠলেও কৃষক যখন এক টাকায় বেগুন, দেড় টাকায় শসা বিক্রি করতে বাধ্য হন, তা নিয়ে সাড়াশব্দ শোনা যায় না।
ভারতে কৃষকেরা ২৩টি ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান। অর্থাৎ এ সব ফসলের ন্যূনতম দাম বেঁধে দেয় সরকার এবং কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনে। এর ফলে বাজারে ফসলের দাম খুব কমে গেলেও কৃষক সরকারের কাছে তাঁর ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন। বাজার ওঠানামা করলেও সমস্যায় পড়তে হয় না কৃষকদের।
খোলাবাজার বলি, আর সিন্ডিকেট বলি, তার হাত থেকে কৃষকদের সুরক্ষার নীতি। কিন্তু ভারত সরকার কৃষক সুরক্ষার সেই নীতি থেকে সরে আসতে চাইলে দেশটির বামপন্থী ও অন্য কৃষক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামে। ফলে সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয়।
আমাদের এখানে কৃষকদের সুরক্ষার এমন কোনো নীতি দেখা যায় না। বরং উল্টো সার, বীজ, সেচ, জ্বালানিতে তাঁরা যে ভর্তুকি পেতেন, তা–ও ধাপে ধাপে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যুক্তি হলো, আইএমএফ ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত।
সার, বীজ, সেচ, জ্বালানি, কৃষিমজুরের মজুরি, পরিবহন খরচ বাড়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ কতটা বেড়েছে? সেই তাঁদেরই যদি এক-দুই টাকা কেজিতে ফসল বিক্রি করতে হয়, তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন? কৃষকেরা কেন তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক দাম পাবেন না?
বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা রকেটের গতিতে বাড়ার পেছনে বাজার কারসাজির সম্পর্কটা কী, সেটা অর্থশাস্ত্রের ছাত্রদের গবেষণার একটা বিষয় হতে পারে। উৎপাদক কৃষক ও ভোক্তা—দুইয়ের দশা ত্রাহি মধুসূদন হলেও কয়েক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া, পাইকারি থেকে খুচরা বিক্রেতা—সবার পকেটই ভারী হয়ে উঠছে।
এই যেমন ধরুন শসার কথা। ঢাকার বাজারে এক কেজি শসা কিনতে গেলে ক্রেতাকে ৬০-৭০ টাকা গুনতে হবে। অথচ ঠাকুরগাঁও কিংবা পঞ্চগড়ের যে কৃষক চড়া সুদে স্থানীয় এনজিও কিংবা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার করে কিছুটা লাভের আশায় শসা চাষ করেছিলেন, তাঁরা সর্বস্বান্ত হতে চলেছেন।
৪০ কেজির এক বস্তা শসা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০-৭০ টাকায়। সেটা কেনার লোক পাওয়া না যাওয়ায় খেতেই শসা পচে নষ্ট হচ্ছে। আর মজুরদের পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কৃষক।
বেগুনের কথাও ধরা যাক। ঢাকার বাজারে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বেগুন রোজার শুরুতেই চড়তে চড়তে শতক পেরিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই দাম নেমে আগের অবস্থানে ফিরে আসে। কিন্তু উৎপাদক বা কৃষক যখন বিক্রি করতে গেলেন, তখন দাম কেজিতে এক-দুই টাকার বেশে তাঁরা পাননি।
মুক্তবাজার অর্থনীতির ধ্রুপদি সূত্র অনুযায়ী চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করেই পণ্যের দাম ওঠানামা করে। বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে মুক্তবাজারটা একদিকে খোলা আর আরেক দিকে বন্ধ। কৃষক যখন তাঁর পণ্য বিক্রি করতে যান, তখন সেটা মুক্তবাজার। আর ফড়িয়া, পাইকার, খুচরা বিক্রেতাদের যখন ভোক্তার কাছে বিক্রি করতে যান, সেটা বন্ধবাজার।
সে কারণে উৎপাদন করেও কৃষক দাম পান না। উৎপাদন খরচও তুলতে পারেন না। পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার মধ্যস্বত্বভোগীদের যে স্তর, সেখানে দুর্ভেদ্য সিন্ডিকেট। ফলে ২ টাকার বেগুন, দেড় টাকার শসা বাজারে ৫০-৬০ টাকার নিচে নামতে পারে না।
বাংলাদেশে অর্থনীতিতে কৃষি নীতিনির্ধারকদের কাছে এখন অনেকটাই দুয়োরানি। যদিও বিবিএসের পরিসংখ্যানই বলছে, জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪-১৫ শতাংশ হলেও এখনো মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখনো কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
এর থেকেও বড় কথা হলো, কোভিড মহামারি; রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় দুটি বৈশ্বিক সংকট এবং ব্যাংক খাত লুটপাট, অর্থ পাচার ও ডলার–সংকটে অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও ছোট্ট ভূখণ্ডের সাড়ে ১৭ কোটি মানুষ যে খেয়েপরে টিকে আছে, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে চলেছে কৃষি ও কৃষক।
কিন্তু না রাজনৈতিক দলে, না সংসদে কৃষকদের কোনো প্রতিনিধি আছে। মধ্যপন্থী মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে কৃষক সংগঠন থাকলেও অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ভিড়ে তাদের যেমন কোনো গ্ল্যামার নেই আবার সেই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কৃষি ও কৃষকের দূরতম সম্পর্কও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফলে কৃষির সঙ্গে জড়িত সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
বাংলাদেশের ক্ষমতাকাঠামোয় তারা এতটা প্রান্তিক যে সেটা এখন অচ্ছুতের পর্যায়ে নেমে গেছে। অথচ কয়েক দশক আগেও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ শক্তিশালী কৃষক সংগঠন ছিল, সংগঠিত কৃষক আন্দোলনের অস্তিত্বও দেখা যেত।
অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষিরও রূপান্তর হয়েছে। আগে যেমন কৃষক প্রধানত ধান ও অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবার উৎপাদনে অভ্যস্ত ছিলেন, এখন সেখানে নানা ধরনের সবজি, ফল, অর্থকরি ফসল তাঁরা উৎপাদন করছেন। মূলত ধান উৎপাদন লাভজনক না হওয়ায় কৃষকেরা নানাভাবে নানা ফসল চাষ করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান।
উৎপাদন খরচ বিবেচনায় সরকার ধানের দাম বেঁধে দিয়ে প্রতিবছর কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করে। খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যেই এই সংগ্রহ। কিন্তু গত দুই বছরে জ্বালানি, সারের দাম যেভাবে দফায় দফায় ছাড়ানো হয়েছে এবং কৃষিমজুরদের মজুরি যেভাবে বেড়েছে, সে তুলনায় ধানের দাম কি কৃষক পাচ্ছেন?
নীতিটা এখানে মোটেই কৃষকবান্ধব নয়। বরং সরকারের উদ্দেশ্য হলো, যেকোনো মূল্যে চালের দামটা আটকে রাখা। সে ক্ষেত্রে মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি কাজ করে না। এখনো আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের শক্তির প্রধান উৎস শর্করা, আর সেটা আসে মূলত ভাত থেকে।
ধান চাষ লাভজনক না হওয়ায় কৃষকেরা কখনো আলু, কখনো টমেটো, কখনো শসা, কখনো পেঁয়াজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সেখানেও যে তাঁরা বড় মার খাচ্ছেন, সেটা দেখাই বাহুল্য।
আলু, পেঁয়াজ, শসা কিংবা অন্য কোনো কৃষিপণ্যের দাম বাড়লে চারদিকে শোরগোল উঠলেও কৃষক যখন এক টাকায় বেগুন, দেড় টাকায় শসা বিক্রি করতে বাধ্য হন, তা নিয়ে সাড়াশব্দ শোনা যায় না।
ভারতে কৃষকেরা ২৩টি ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান। অর্থাৎ এ সব ফসলের ন্যূনতম দাম বেঁধে দেয় সরকার এবং কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনে। এর ফলে বাজারে ফসলের দাম খুব কমে গেলেও কৃষক সরকারের কাছে তাঁর ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন। বাজার ওঠানামা করলেও সমস্যায় পড়তে হয় না কৃষকদের।
খোলাবাজার বলি, আর সিন্ডিকেট বলি, তার হাত থেকে কৃষকদের সুরক্ষার নীতি। কিন্তু ভারত সরকার কৃষক সুরক্ষার সেই নীতি থেকে সরে আসতে চাইলে দেশটির বামপন্থী ও অন্য কৃষক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামে। ফলে সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয়।
আমাদের এখানে কৃষকদের সুরক্ষার এমন কোনো নীতি দেখা যায় না। বরং উল্টো সার, বীজ, সেচ, জ্বালানিতে তাঁরা যে ভর্তুকি পেতেন, তা–ও ধাপে ধাপে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যুক্তি হলো, আইএমএফ ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত।
সার, বীজ, সেচ, জ্বালানি, কৃষিমজুরের মজুরি, পরিবহন খরচ বাড়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ কতটা বেড়েছে? সেই তাঁদেরই যদি এক-দুই টাকা কেজিতে ফসল বিক্রি করতে হয়, তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন? কৃষকেরা কেন তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক দাম পাবেন না?