প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাসহ দক্ষিণ উপকূলে চলছে ঝড়বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস। এর আগে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।
এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টি ও জড়ো বাতাসের কারণে স্থানীয়দের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে উপজেলার ১৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, মঞ্জুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, হাসনাপাড়া, চন্দপাড়া, পশুরিবুনিয়া, ছোট পাঁচ নম্বর, বড় পাঁচ নম্বর ও বানাতিসহ নয়টি গ্রামের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ২৪টি গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০টি মুজিব কিল্লাতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে পেরেছি। যেসব এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে সেসব এলাকার সকলকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করেছি। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের কাছে পর্যাপ্ত নগদ অর্থও আছে।