ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে জাল ভোট দেওয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টসহ ১০ জনকে আটক করা হয়।
বুধবার (২৯ মে) বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিন উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। একই সময় একটি কেন্দ্র থেকে ১৪টি ব্যালট পেপার জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরের পর জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে সকালের দিকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে সদর উপজেলার ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ছয়জন, পিটিআই কেন্দ্র থেকে একজন পোলিং এজেন্ট ও একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া কেন্দ্রে একজন এবং সোনাগাজী উপজেলার রাজাপুর মাস্টার মুজিবুল হক একাডেমি কেন্দ্রে থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে দুপুরের পর কেন্দ্র থেকে চারজনকে আটক করা হয়। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ফেনী পিটিআই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল চন্দ্র দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহআলম এবং পোলিং এজেন্ট নাসির উদ্দিন মানিককে ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেছে।
অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় তাদের আটক করা হয়েছে।