রেমিটেন্সের তিন কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে উত্তরা ব্যাংক লি. এর নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) রোকনুজ্জামান ও সেকেন্ড অফিসার মুক্তার হোসেনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দেড় কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যা তাদের ব্যক্তিগত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায়যোগ্য হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (২ মে) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ এস. এম. জিয়াউর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এদিকে একই শাখার সাবেক হেড ক্যাশিয়ার নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৬ মে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন ওই শাখার মহাব্যবস্থাপক আঞ্চলিক প্রধান খায়রুল আলম।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরা ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী উত্তরা ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার সীমাতিরিক্ত টাকা নারায়ণগঞ্জ (প্রবাদ) শাখায় স্থানান্তরিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নিতাইগঞ্জ শাখা থেকে ২০১৩ সালের ২৭ মে থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পাঠানো নগদ রেমিটেন্সের দেড় কোটি ও ৪০ লাখ এবং মুন্সিগঞ্জের রেকাবীবাজার শাখা থেকে ওই বছরের ২২ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পাঠানো রেমিটেন্সের এক কোটি ১০ লাখ টাকা, সর্বমোট তিন কোটি টাকা স্থানান্তরিত হলে আসামিরা ওই টাকা সংশ্লিষ্ট শাখার অফিসারের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে।
মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।