অবশেষে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার তার পাসপোর্ট নবায়নের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরে নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) হস্তান্তর করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ বুধবার (৭ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে তার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গতকাল রাতে পাসপোর্টটি গ্রহণ করেন।
খালেদা জিয়াকে গতকাল নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। এরপর ২০২০ সালে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার মানবিক কারণে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে (বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্তি দেয় খালেদা জিয়াকে। এরপর ছয় মাস পরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গত ১৫ জুলাই জাগো নিউজকে বলেন, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর গত চার বছরে খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন সময়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয়েছে, দিনের হিসাবে যা প্রায় ২৬০ দিন (আট মাস ২০ দিন)। আর কারাবন্দির পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল- সব মিলিয়ে খালেদা জিয়া দেড় বছরের বেশি সময় হাসপাতালে রয়েছেন। সর্বশেষ গত ৮ জুলাই ভোর ৪টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।