দেখতে দেখতে কেটে যাচ্ছে সময়। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ শেষ। সামনে এশিয়া কাপ। তারপর পরই ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ বিশ্বকাপ।
তার মানে এশিয়া কাপ দিয়েই শুরু টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। আর সে কারণেই স্কিল ট্রেনিংয়ের আগে ক্রিকেটারদের সর্বশেষ ফিটনেস খুঁটিয়ে দেখা হবে। সে লক্ষ্যে একটি কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আয়োজ করা হচ্ছে।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলতে পারেন, এই দুই টুর্নামেন্টের স্কোয়াডে সম্ভাব্য পারফরমার হিসেবে যাদের ভাবা হচ্ছে, তাদের সবাইকে ডাকা হবে ওই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও আজ সোমবার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আগামী ৩১ জুলাই থেকে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ওই কন্ডিশনিং ক্যাম্প।
কতজন ক্রিকেটার অংশ নেবেন তাতে? প্রধান নির্বাচক নান্নু এবং অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সংখ্যাটা ২৭ থেকে ২৮ জনের হবে।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমরা ২৭ থেকে সর্বোচ্চ ২৮ জন থাকবে ওই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকবো।’
তারা কারা? ঐ ক্যাম্পে কারা থাকবেন? আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে যারা ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন, তাদের বাইরে কি আরও ক্রিকেটার থাকবেন? একদম বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কি থাকবেন এই ক্যাম্পে? কন্ডিশনিং ক্যাম্পের দল ঘোষণাই বা কবে?
প্রধান নির্বাচকের কুটনৈতিক জবাব, ‘যেহেতু কন্ডিশনিং ক্যাম্প, তাই আমরা ঢাকা-ঢোল পিটিয়ে দল ঘোষণা নাও করতে পারি। আমরা হয়ত কয়েকজন ক্রিকেটারকে বাড়তি ডাকবো। তবে সেটা নীরবে, নিবৃতে। সে তালিকায় কারা থাকবে, আমরা আগে থেকে তা বলতে চাচ্ছি না।’
কোন বিশেষ ক্রিকেটারেরও নাম বলতে চাননি নান্নু। তবে হাবভাবে বোঝা যাচ্ছে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সম্ভাব্য সবাইকেই দেখা যেতে পারে। এমনকি নিকট অতীত ও বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেখা গেলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। তাকেও হয়ত পরখ করে নেয়া হতে পারে।
সাথে ওপেনিং, মিডল অর্ডার ব্যাটার এবং একাধিক বোলিং অলরাউন্ডারকে দেখা যেতে পারে। টপ অর্ডারে নাইম শেখ, মিডল অর্ডারে আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, শেখ মাহদি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর সাথেমোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও থাকতে পারেন। এর বাইরে জাতীয় ওয়ানডে দলের পুরো বহরের থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে।